1. admim@mystiqueapi.com : admim :
  2. protidinerkantho@gmail.com : দৈনিক গ্রামের কণ্ঠ : দৈনিক গ্রামের কণ্ঠ
  3. : wp_update-1716554041 :
  4. : wpcron1de0bfd3 :
  5. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

সরকারি শিশু পরিবারে বেড়ে ওঠা আয়শা’র জমকালো বিয়ে

খুলনা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩
সরকারি শিশু পরিবারে বেড়ে ওঠা আয়শা'র জমকালো বিয়ে

পিতা হারা আয়শা মিনা বেড়ে উঠেছেন খুলনা সরকারি শিশু পরিবারে আর সেখানেই জমকালো আয়োজনে বিয়ে হয়েছে তার। এ বিয়েতে কমতি ছিল না কোন কিছুরই। ভবনজুড়ে ছিলো আলোকসজ্জা, ফুলে ফুলে সাজানো মঞ্চ। নাচ-গাণের মাঝে হয়েছে গায়ে হলুদ। বাদ যায়নি আতশবাজির রোশনাই, রঙ উৎসব সব শেষ ভুরিভোজ তো ছিলই। উচ্চবিত্ত পরিবারের বিয়ে বাড়ির মতোই ছিল সব আয়োজন। উৎসবের কমতি ছিল না কোথাও। ব্যাতিক্রমী এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনরা। উপস্থিত সকলেই নবদম্পতির সংসার জীবনের মঙ্গল কামনা করেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত খুলনা সরকারি শিশু পরিবারে বাবা অথবা মা হারা এতিম ১০১ কন্যা শিশুর আশ্রয়স্থল। শুক্রবার দুপুরে নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল সড়কে সরকারি শিশু পরিবার (বালিক)তে পিতা হারা আয়শা মিনা’র বিয়ে হলো মহা ধুমধামে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ছিলো গায়ে হলুদ। এতিম শিশুদের লেখাপড়া, থাকা-খাওয়া এবং ১৮ বছর পূর্ণ হলে তাদের বিয়ে ও পুনবার্স্ন করে শিশু পরিবার। ২০১৩ সালে বাবা হারা আয়শা’র আশ্রয় হয় শিশু পরিবারে। গত ১০ বছরে এখানে থেকেই লেখাপড়া করছে বর্তমানে নগরীর সরকারি পাইওনিয়ার গার্লস কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বর মোহাম্মদ হোসেন পুলিশের নায়েক হিসাবে কর্মরত, বাড়ি সাতক্ষীরা জেলা সদরে। বর্তমানে তিনি খুলনা জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন। আয়শা মিনা’র বিয়েতে কমতি ছিলো না কোথাও। বিয়ের দিন বরের গেট ধরা থেকে, জুতো চুরি সবই হয়েছে। উৎসবে আলো ছড়িয়েছে ঐ পরিবারের সদস্য ১০০ অনাথ শিশু। হলুদের রাতে রাতে সবাই হলুদ শাড়ি, বিয়ের দিন মেরুন কালারের লেহেঙ্গা পরে তাদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে রঙিন হয়ে ওঠে শিশু পরিবার। শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বিয়ের আয়জনে যোগ দিয়েছিলেন খুলনার মহাৎপ্রাণ কিছু মানুষ।বৃহস্পতিবার রাতে শিশু পরিবারের গিয়ে দেখা গেছে, হলুদ শাড়ি পরা শত শিশুর ছুটে বেড়ানো, নাচগানে মুখরিত পুরো এলাকা। তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রোটারি ক্লাব অব সুন্দরবনের সদস্যসহ সমাজসেবা পরিবারের সদস্যরাও যুক্ত হন। তারাও গান গেয়ে নেচে শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন শুক্রবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে শিশুদের পড়নে ছিল মেরুন রঙের লেহেঙা। বরকে নিয়ে নানান আয়োজনে প্রাণবন্ত ছিলো সবাই। নতুন বর-কনেকে শুভেচ্ছা জানাতে সেখানে হাজির হন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকসহ জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিয়ের অনুষ্ঠানে আয়শার মা ও বোনেরা উপস্থিত ছিলেন।আয়শা মিনা’র মা কহিনুর বেগম বলেন, এভাবে আমার ছোট মেয়ে আয়শার বিয়ে হবে আমার কল্পনাতেও আসেনি। আমার মেয়ে ও জামায় এর জন্য সবাই দোয়া করবেন।বর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই এসপি স্যার বলে আসছেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। বিয়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটাও অসহায় কারও পাশে দাড়ানোর মাধ্যমে শুরু করার ইচ্ছা ছিলো আমার মায়ের ইচ্ছা ছিলো সবচেয়ে বেশী। আমরা সবার দোয়া প্রার্থী।রোটারি ক্লাব অব সুন্দরবনের পক্ষে খুলনা চেম্বর অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, শিশু পরিবারের সবাই আমাদের সন্তানের মতো। এজন্য আমাদের স্লোগান ছিলো আমাদের মেয়ে আয়শা মিনার বিয়ে। আমাদের সবারই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধপ্তা-ভালবাসা নিয়ে আমরা শিশিদের পাশে দাঁড়িয়েছি।আয়োজনের উদ্যোক্তা শিশু পরিবার বালিকার উপতত্ত্বাধায়ক আবিদা আফরিন বলেন, এর আগে শিশু পরিবারের অনেকের বিয়ে হয়েছে কিন্তু এবারের আয়োজনটি ছিল ভিন্ন। বিয়ে-হলুদ অনুষ্ঠা্নরে মতো বর্ণিল আয়োজনে এখানকার শিশুরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় না। তাদের মাঝে বিয়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আয়শা মিনা’র বিয়ে ধুমধাম করে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়। আমাদের দাতা সদস্য রোটারি ক্লাব অব সুন্দরবনসহ বিভিন্ন মানুষ এতে এগিয়ে আসে। খুলনা জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খান মোতাহার হোসেন বলেন, শিশু পরিবারের মেয়েদের বিয়ে আমরা সব সময় ধুমধামে দেওয়ার চেষ্টা করি। এতো বর্ণিল আয়োজন আমাদের মেয়েদের বিয়েতেও হয় না। তিনি আরও বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনসহ শিশু পরিবারের সদস্যদের সবাইকে ভালোবাসেন। সবার সহযোগিয়তায় আয়োজনগুলো সফল হয়।

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2024 LatestNews
Developed by: JIT SOLUTION