যশোর জেলা বাঘার পাড়া উপজেলায় পাকা সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বালির বদলে ইট ভাটার পোড়া মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বাধা দিয়েও কাজ আটকাতে পারেননি। উপজেলা প্রকৌশলী বিষয়টি জানার পরেও কোন ব্যবস্থা নেননি, বরং তিনি ঠিকাদারকে সহায়তা করছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় ও উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, বাঘারপাড়ার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের মাহমুদপুর সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। নয়শত দশ মিটার রাস্তার সংস্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে পঞ্চান্ন লক্ষ টাকা। সরেজমিনে দেখা গেছে রাস্তার ম্যাকাডমের কাজে ইট ভাটার পোড়া মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। যে বালি ব্যবহার করা হচ্ছে তা একবারেই নি¤œ মানের। বালির ভেতরে মাটির পরিমানই বেশি। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়েই সেখানে এগিয়ে আসেন মাহমুদপর গ্রামের নওশের খাঁর ছেলে তবিবর রহমান, আকবর আলীর ছেলে মোতালেব হোসেন, মালেক সর্দারের ছেলে আমীর হোসেনসহ দশ বারোজন মানুষ। তারা জানান, রাস্তায় বালির বদলে পোড়া মাটি ব্যবহার হচ্ছে। বিষয়টি অফিসের লোজনদের জানানোর পরেও কোন প্রতিকার হয়নি। কাজের ঠিকাদারকেও অনুরোধ করা হয়েছে কাদাযুক্ত বালি ও ইট ভাটার রাবিস ব্যবহার না করার জন্য। তিনি কোন কিছুই উপেক্ষা না করেই তা ব্যবহার করছেন।
লুৎফর রহমান নামে এক ব্যাক্তি জানান, যে স্থানে কাজ হচ্ছে তা গত বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। চলাচলের উপযোগি করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঐ স্থানে দেওয়ার জন্য ইট ভাটা থেকে রাবিস নিয়ে আসেন। তবে তা রাস্তায় বিছানো হয়নি। তিনটি স্পটে কয়েক ট্রাক রাবিস স্তুপ করে রাখা ছিলো। এখনকার কাজে ঠিকাদার ঐ রাবিস ব্যবহার করছে।
কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশ^জিৎ ট্রেডার্সের সাথে অনেক চেষ্টা করেও এ বিষয়ে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাঘারপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, ঐ রাস্তাটির সংস্কার কাজের এস্টিমেটে কোন ইট বা খোয়া ধরা নেই। যে কারনে রাস্তার নীচু জায়গায় হয়তো ভ্যাট্স ব্যবহার হচ্ছে। এতে রাস্তার কোন ক্ষতি হবে না। তবে আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখব। কোন অনিয়ম হলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।