যশোরের কেশবপুরে দুই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। ৪ জুলাই দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে তিনি ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে সাতবাড়িয়া এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বিভিন্ন সময়ে তাকে দিয়ে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে তার ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন মনগড়া ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করিয়েছেন। যার ফলে সংসদ সদস্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং দলের জন্য ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। এ কারণে তিনি আওয়ামী লীগের একজন আদর্শিক কর্মী হিসেবে ভুল বুঝতে পেরে দলের নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। একই সঙ্গে ওই দু’জন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পরপর দু’বার ইউপি সদস্য পদে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধিতার কারণে পরাজিত হয়েছিলেন। এ কারণে তিনি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তার এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ওই দুইজন আওয়ামী লীগ নেতার পরামর্শে ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ও কমেন্ট করেছিলেন। তবে আগামীতে কারও প্ররোচনায় পড়ে এ ধরণের কোন কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, কখনো কারও বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস বা কমেন্ট করার জন্য মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে কিছুই বলা হয়নি। সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি স¤পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।